‘খেজুর’ কি ফ্রোজেন করে রাখা সম্ভব? খাওয়া যাবে?? স্বাদের কি হবে???
আচ্ছা, এমন যদি হয় যে বারবার খেজুরের টুপি মানে বোঁটা ছাড়াতে হলো না, ধুয়ে নিতে হবে না! বোনাস হলো গরমে ফ্রোজেন খেজুর খেতে চকলেটের থেকে কোন অংশে কম মজা নয়। বরং আরও বেশি মজা!! প্লাস বাইরে থাকলে পোকায় ধরল কিনা, ফাঙ্গাস ধরল কিনা এসব যে চিন্তা করা লাগত, তাও আর করা লাগবে না!!! 😃
খেজুর এখন বাজারে সব সময়ে পাওয়া যায়। ফ্রোজেন প্রসেসটা ফলো করে সারা বছরই বাসায় নিশ্চিন্তে খেজুর রাখতে পারেন আর সুস্থ থাকার চেষ্টায় এগিয়ে থাকলেন। 🍀
শুধু রোজার মাসে নয়, সারা বছরই খেজুর বাসায় রাখতে পারি। কেন??
অল্প বয়সে খাবার নিয়ে অত মাথা ব্যথা না থাকলেও, একটা সময়ে সুস্থ থাকতে হলে, পেটে ন্যাচারাল জিনিস দেবার কথা ভাবতে শুরু করাই লাগে। উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, বিস্কুট খেলেও মিষ্টি কিছু খাবার ক্রেভিং মেটে। তবে সেটা পেটে বেশিক্ষণ থাকে না। বিস্কুটের তুলনায় খেজুর হেলদি চয়েস। ✨

খেজুরে আয়রন আছে, যেটার ঘাটতি মেয়েদের একটু বেশিই হয়ে থাকে। অবশ্য পুষ্টির দরকার ছেলেদেরও রয়েছে। খেজুরের আঁশ হজমে হেল্প করে। পেটে থাকেও অনেকক্ষণ। খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি থাকে। আপনি যদি মিষ্টি পছন্দ করা পাবলিক হয়ে থাকেন, যখন তখন মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছা করে এমন পাবলিক হয়ে থাকেন, মূল খাবারের পর মিষ্টি কিছু খেতেই হবে এমন অবস্থায় চোখ বন্ধ করে খেজুর খেতে পারেন। স্ন্যাক্স হিসেবেও মন্দ নয়। 😋
এখানে অল্পই বললাম। খেজুরের গুণাগুণ গুগল করলেও পেয়ে যাবেন। তাই আমরা মূল কথায় চলে যাই।
ঘর-সংসারে আমরা এখনো নতুনই বলা যায়।
বাজারে অনেক পদের খেজুর পাওয়া যায়। আপনার বাজেট আর পছন্দ বুঝে খেজুর আনুন। পরিমাণ ফিক্স করে বলবার জো নাই। যার যেমন লাগে। তবে ফ্রোজেন করবার জন্য অল্প দিয়েই শুরু করতে পারেন। প্রসেস পছন্দ না হলে আপনার মতো করেই চালিয়ে যাবেন। 💕
আমরা সাধারণত বরই খেজুর ১ কেজি করে আনি। বাজেটে বাড়তি চাপ নাই। খেতেও বেশ মিষ্টি। খুব শক্ত না, আবার খুব নরমও না। মাঝামাঝি টাইপের। আমরা মানুষ ২জন। ১ কেজিতেও অনেকদিন চলে যায়। ঠিক কতদিন যায় বলতে পারব না। তবে আনুমানিক মাস দুয়েক ভালভাবেই হবে। 😊
অনেক তো আর খাওয়া যায় না। ৩ থেকে ৪ পিস খেলেই যথেষ্ট। মোটামুটি রেগুলারই খাওয়া হয়।
প্রসেসটা বলি। খেজুর আনলেন। এরপর খেজুরগুলোর মাথায় যে টুপি মতো একটা পার্ট মানে বোঁটা থাকে, ওগুলো ছাড়িয়ে নিতে হবে। পরের জন্য কোন কিছু না রাখা আর কি। পুরো প্রসেসটাই খাবার অভ্যাসটা যেন সহজে তৈরি হয়, সেভাবে চিন্তা করা। টুপি ছাড়ানো হয়ে গেলে এবার ধোয়ার পালা। 🤓
খেজুর দেখতে পরিষ্কার লাগলেও গায়ে ভালোই ময়লা থাকে। ৩-৪ বার ধোয়া লাগতে পারে, খেজুর টাইপ বুঝে। আলতো করে কচলে কচলে ধুয়ে নিতে হবে। পানি নেবেন, কচলে নেবেন, পানি ঝরিয়ে নেবেন, আবার পানি নেবেন, কচলে নেবেন……এভাবে পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত চলবে। পানি পরিষ্কার হয়ে এলে বুঝতে হবে যে ময়লা শেষ! 🥳 🥳
ধোয়া শেষ হলে, এবার ঢাকনা খুলতে সহজ কিন্তু ভালভাবে এঁটে থাকে, এরকম একটা ডিব্বা বা বক্সে পানি ঝরানো খেজুরগুলো তুলে ফেলি। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে এবার ফ্রিজের ফ্রিজার বা ডিপ সেকশনে রাখব আমরা। 😎

খেজুর খুব সহজেই ছেড়ে আসে। বোঁটা বা টুপি ছাড়ানো, ধুয়ে রাখা খেজুর এবার যখন খেতে ইচ্ছা করবে, জাস্ট বের করে নিন আর গাপুস গুপুস খান। 😋 😋
হাতের কাছে ভালোটা থাকলে ভালোটাই খাওয়া হবে। ঘরে বিস্কুট না রেখে খেজুর, বাদাম, ফল এসব রাখুন। দেখবেন এগুলোই খাওয়া হবে। খাবার কিনতে কিন্তু টাকা খরচ হবেই। আপনিই ঠিক করতে পারেন টাকাটা কোনটার পেছনে খরচ করবেন।
পুরো প্রসেসটাই খাবার অভ্যাসটা যেন সহজে তৈরি হয়, সেভাবে চিন্তা করা।
খুব লম্বা একটা সময় বাইরের খাবার খেয়েই আমরা কাটাই, তাই এ অভ্যাস রাতারাতি তো বদলে যাবে না। এমনকি মাঝে মাঝে আমরাই এখনো বাইরে খাই। তবে ঐ যে বললাম, খেজুর, বাদাম, ফল এসব বেশ রেগুলারভাবে খেতে চেষ্টা করি। তৃপ্তিটাই অন্য রকম। 💕💕
ফ্রোজেন করবার আইডিয়া এলো কিভাবে? 🤔 🤔
ঘর-সংসারে আমরা এখনো নতুনই বলা যায়। বড়দের কাছ থেকে পরামর্শ নেয়া তো হয়ই, আরও আছে ইউটিউব। ইউটিউবে বেশ কিছু মিল প্রেপ (খাবার প্রস্তুতি) , রেসিপির চ্যানেল ফলো করি। দেশি, বিদেশি ২ রকমই দেখা হয়। দেখতেও আরাম লাগে।
বিদেশি বেশ কিছু চ্যানেলে, ওরা, ফ্রোজেন খেজুর, চিনির বিকল্প হিসেবে, বিভিন্ন রেসিপিতে ব্যবহার করে এমনটা কয়েকবার দেখবার পর আইডিয়াটা মাথায় আসছে। আর তা এখন দারুণভাবে কাজও করছে। কাজ করছে বলেই খুশিটা শেয়ার করতে এই লেখা লিখতে বসা। 😁
খেজুরের ভালো ছবি না পেয়ে নিজেদের ঘরের ছবিই শেয়ার করেছি এই পোস্টে। খেজুরের পরিমাণ কমে আসছে। নতুন আনতে হবে সামনে। 💖